| |
               

মূল পাতা জাতীয় আইন-আদালত অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ হাইকোর্টের


অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ হাইকোর্টের


রহমত নিউজ ডেস্ক     12 October, 2023     08:49 PM    


প্রসূতি নারীদের অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে নীতিমালা অনুসারে পদক্ষেপ নিতে  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়ে রায়ে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর এজন্য ২০১৯ সালে প্রনীত নীতিমালাকে আইনের অংশ হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সেই সাথে আগামী ছয় মাসের মধ্যে এ নীতিমালা প্রচারের নির্দেশ দেয়া হয়। 

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে  অপ্রয়োজনীয় সিজার কার্যক্রম বন্ধে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেন। আদালতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত। অপ্রয়োজনীয় সিজার রোধে একটি নীতিমালা তৈরিতে বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের জন্য ২০১৯ সালের ৩০ জুন নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর নীতিমালা করে হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনযুক্ত করে জনস্বার্থে রিটটি করেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট।

রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের ফলে অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে কঠোর ভাবে নীতিমালাটি মানতে হবে। আর এই নীতিমালায় অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে পর্যাপ্ত মনিটরিংয়ের কথা বলা আছে। এছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সিজারের ক্ষেত্রে সকল তথ্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেনের মতে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে শতকরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশের বেশি সিজার পদ্ধতি কোনো দেশেরই প্রয়োজনীয় হতে পারে না। বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে এটি প্রায় ৩১ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৮৩ শতাংশ এবং সরকারি হাসপাতালে এটার হার ৩৫ শতাংশ। এছাড়া এনজিও হাসপাতালগুলোতে ৩৯ শতাংশ। এটি আসলে এলার্মিং রাইজ, এ রেটটার বৃদ্ধি থামানোর জন্যই জনস্বার্থে মামলাটি আনা হয়। গ্রামে-গঞ্জে যে প্রাইভেট হাসপাতাল আছে সেগুলো কোনো ধরনের সরকারি মনিটরিং ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সিজারিয়ান সেকশন করে যাচ্ছে। এটা থেকে অনেকের অমানবিক মৃত্যুও ঘটেছে।